তাকরীমূল মায়্যিত
প্রশ্ন ও উত্তর
উ: তাকরীমূল মায়্যিত মৃতের দাফন কাফনের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক সেবামূলক সংগঠন।
উ: তাকরীমূল মায়্যিত এর মূল উদ্দেশ্য নিজের জমানো টাকায় নিজের/পরিবার-সদস্যের দাফন এবং অপারগ ব্যক্তি/পরিবারকে দাফন সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
উ: আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ মারা গেলে তাকরীমূল মায়্যিত তার দাফন-কাফনের দায়িত্ব বহন করবে।
উ: অস্ট্রিয়াতে বসবাসরত যে কেউ যার বয়স ১৮ বছর উপরে এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম।
উ: Online Application Form (https://www.takrimulmayit.at/antrag) অথবা সংগঠন থেকে ছাপাকৃত Membership Application Form পূরণ করে এবং সংগঠন নির্ধারিত নিবন্ধন ফি প্রদান করে সদস্যপদ গ্রহণ করা যেতে পারে। বয়স পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত নিবন্ধন ফি € ৫০,- ইউরো এবং পঞ্চাশ বছর উর্ধ্ব থেকে নিবন্ধন ফি € ১০০,- ইউরো এবং একজন সদস্যের নিয়মিত মাসিক ফি € ২০,- ইউরো।
অবশ্যই।৪০০০€ জমা দিয়ে এককালীন সদস্য হতে পারেন
উ: পরিবারকে সরাসরি কোন অর্থ প্রদান করা হবে না, অর্থ প্রদান করা হবে মৃতের দাফনকারী কোম্পানিকে।
সম্পূর্ণ ব্যয়ভার সমিতি বহন করবে। তবে পরিবার বা অন্য কেউ চাইলে ব্যয়ভার বহনে অংশগ্রহণ করতে পারবে ।
উ: অবশ্যই Takrimul Mayit Austria আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ মারা গেলে দাফন-কাপনের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে।
উ: অবশ্যই না।
কেন দানের টাকা নয় বর্ণনা করছি: মনে করেন TAKRIMUL MAYIT একটি Hilfs Verein । TAKRIMUL MAYIT নাম মাত্র মাসিক চাঁদায় সদস্য নিলো, মনে করেন মাসিক চাঁদা ৫€ । পাশাপাশি TAKRIMUL MAYIT সমাজের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দান বাবদ অর্থ সংগ্রহ করল। পাশাপাশি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে দান, যাকাত বা অন্য যেকোনো উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করল। মাসিক ৫ টাকা চাঁদার বিনিময়ে সমাজের Needy লোকদের সাহায্য করলো এবং নিজেকে Hilfs Verein হিসেবে প্রচার করলো। তখন আপনি বলতে পারতেন যে এটা দানের টাকা।
Takrimul Mayit তার সদস্যদের দাফন কাফনের জন্য কোন দানের অর্থ সংগ্রহ করে না। সদস্যদের অর্থই সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হয়। অতএব এটা দানের টাকা কোন মতেই হতে পারে না।
TAKRIMUL MAYIT একটা ওপেন প্লাটফর্ম না। যে কেউ চাইলেই TAKRIMUL MAYIT এর সদস্য হতে পারবেনা। তাকে অবশ্যই বাংলাদেশী বা বাংলাদেশী বংশভূত হতে হবে। আমরা ২০০ জন একসাথে অর্থ সঞ্চয় করছি , ২০০ জন নিজের এবং ২০০ জনের নিজেদের পরিবারের মৃত্যুজনিত আর্থিক সুরক্ষার জন্য।
উ: অবশ্যই, সংগঠনের সঞ্চয় তহবিল থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা করা হবে ।
উ: নতুন এবং পুরাতন সদস্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই । তবে নিবন্ধন ফি জমা হওয়ার মাস থেকে সদস্যপদ সক্রিয় হবে
উ: মৃতকে ঐ দেশে দাফন বা অস্ট্রিয়াতে নিয়ে আসা এবং দাফনের খরচ সংগঠন বহন করবে।
উ: সদস্য হওয়ার পর পৃথিবীর যে কোনো দেশেই চলে যান না কেন মাসিক ফি প্রদান অব্যাহত থাকলে সেই সদস্য ও তার পরিবার সংগঠনের পূর্ণ আর্থিক সুরক্ষার আওতাধীন থাকবেন।
উ: সদস্য হওয়ার একটি শর্ত হলো Sozialversicherung থাকা । অস্ট্রিয়াতে না এসে থাকলে Sozialversicherung থাকে না । সে ক্ষেত্রে সেই পরিবার সংগঠনের সুবিধা নিতে পারবে না।
উ: আপনি, আপনার স্ত্রী এবং আপনার ২৪ বছরের নিচে সন্তানগণ।
উ: সন্তান জন্মের তিন মাস পরে তার সদস্যপদ কার্যকর হবে। এই সময়ের মধ্যে কার্যকরী কমিটির সাথে যোগাযোগ করে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।অথবা অনলাইন প্রোফাইল এ তথ্য হালনাগাদ করতে হবে
উ: # এটি একটি বাংলাদেশি সংগঠন
# এটা কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানি নয়
# লাশ শুধু বাংলাদেশে পাঠানো নয়, পরিবার চাইলে বাংলাদেশ থেকে লাশ অস্ট্রিয়াতে আনার ব্যয়ভারও সংগঠন বহন করবে
# আপনার পরিশ্রমের টাকায় আপনার নিজের দাফন
# একদম অল্প খরচে পুরো পরিবারের সুরক্ষা
# বাংলাদেশি ধর্মীয় পরিচিত জন পাবেন, যারা বিপদে-আপদে সবসময়ই আপনার পাশে থাকবে
# এই সংগঠন থেকে বাৎসরিক গেট টুগেদার এবং মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
উ: এটা প্রচলিত ধারার সঞ্চয় সমিতির নয়I এখানে অর্থসঞ্চয় করতে পারবেন, কিন্তু তা অফেরত যোগ্য এবং তা কেবল আপনার দাফনের জন্য ব্যবহার করা হবে
উ: অবশ্যই না।
উ: না, এটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ।
উ: সংগঠনের নীতিমালা অনুকরণ সাপেক্ষে সদস্য পদ / আর্থিক সুরক্ষা বাতিল বা স্থগিত হতে পারে
উ: না, সংগঠনের জমানো অর্থ কখনোই কোথাও বিনিয়োগ করা হবে না।
উ: কোন সদস্যের সর্বোচ্চ ছয় মাস মাসিক ফি বকেয়া থাকলে দুইবার লিখিত অনুস্মারকের পর সদস্যপদটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
উ: না, এটা কখনোই করা যাবে না। তবে, কোন সদস্য মারা গেলে তার পরিবারের অন্য কেউ সদস্যপদটি নতুন Application Form পূরণ করে কোন প্রকার নিবন্ধন ফি ছাড়াই বহাল রাখতে পারবেন।
উ: না, আপনার বাবা-মা সুবিধা পাবেনা। শুধুমাত্র স্বামী/স্ত্রী এবং সন্তান।
উ: অবশ্যই, মৃতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।